শাস্তি কি শুধু বাফুফে সাধারণ সম্পাদক পাবেন!
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। মোট ৪টি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল অভিযোগ। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিফার স্বাধীন এথিকস কমিটির বিচারিক চেম্বার।
কেনাকাটায় চারটি অনিয়মের কথা বিস্তারিত উল্লেখ করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যেগুলো হল ক্রীড়া পরিধেয় সামগ্রী কেনা, ফুটবল কেনা, বিমানের টিকিট এবং ঘাস কাটার যন্ত্র। সব জায়গাতেই হিসেবে দরপত্রে ফিফা খুজে পেয়েছে গোঁজামিল।
তবে এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যেসব সিদ্ধান্তের কারণে ঘটেছে এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম, সেগুলো কি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক একাই নিয়েছিলেন? কেন শুধু তাঁর উপরেই আসলো এমন নিষেধাজ্ঞা।
যেসব অনিয়মের ঘটনা ফিফার তদন্তে উঠে এসেছে, সব কটিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে সোহাগের। ফিফার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাফুফে সচিবালয়ের পরিচালক হিসেবে ফেডারেশনের প্রশাসনিক কার্যক্রমের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের কাঁধে বর্তায়। বাফুফে গঠনতন্ত্রের ৫৯ ধারায়ও উল্লেখ আছে, ফেডারেশনের হিসাব ব্যবস্থাপনা ও ফিফার যোগাযোগের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের।
কিন্তু আবু নাইম সোহাগ কি একাই নিয়েছেন বাফুফের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো! অনুমিত ভাবেই নয়, কারণ এসব সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলে শলা পরামর্শ করে আসার কথা। আর প্রধান নিবার্হী হিসেবে সেগুলো শুধু বাস্তবায়ন করেন সোহাগ।
তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আসার পর থেকেই মুখে ছিপি লাগিয়েছেন বাফুফের সব কর্তারা। শনিবার নারী লিগকে সামনে রেখে জরুরি কার্যনির্বাহী সভাও করে দিয়েছে বাতিল।