আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

সেমি পর্যন্ত ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়ানদের পারফরম্যান্স

অন্তিম মুহূর্তে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আগামীকাল ট্রান্স-তাসমান ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের। ফাইনালের ‍দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটিতে যারাই জিতবে তারাই হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২বার) ও ইংল্যান্ড শিরোপা ঘরে তোলে। 

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত আসরের বিশ্বকাপের ফাইনালটি অজিদের জন্য দ্বিতীয়বার হলেও প্রথমবার কিউইদের। অজিরা প্রথম ফাইনালে শিরোপা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়। তাই এবার তারা চাইবে শিরোপা খরা ঘোচাতে। অন্যদিকে ব্ল্যাক ক্যাপসও চাইবে ষষ্ঠ দল হিসেবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। এ ম্যাচটি উইলিয়ামসনদের জন্য প্রতিশোধের ফাইনাল। কেননা ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও অজিদের কাছে হেরেই শিরোপা হাতছাড়া হয়।

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ। তাই উভয় দলই চাইবে তাদের উইনিং কম্বিনেশন ঠিক রাখতে। অস্ট্রেলিয়া রাখতে পারলেও পারবে না নিউজিল্যান্ড। ইচ্ছা না থাকলেও ডেভিড কনওয়ের বিপরীত কাউকে নামাতে হবে। কেননা সেমিতে আউট হওয়ার পর কিউই উইকেটকিপার-ব্যাটার কনওয়ে ব্যাটে মুষ্টিবদ্ধ ঘুষি মারেন। ম্যাচ পরবর্তীতে স্ক্যান করে দেখা যায় তার হাতের আঙুলে চিড় ধরেছে। 

ফাইনালের আগে দেখে নেবো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ও বোলারদের চলতি আসরের পারফরম্যান্স।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং পারফরম্যান্স
অ্যারন ফিঞ্চ
(৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করেছেন। ১১৯.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১৩০ রান করেছেন। যেখানে চার মেরেছেন ১২টি ও ছয় মেরেছেন ৬টি। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুইবার। সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

ডেভিড ওয়ার্নার (৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং করে ১৪৮.৪২ স্ট্রাইক রেটে ২৩৬ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে রয়েছে ২৮টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

মিচেল মার্শ (৫ ম্যাচ খেলে ৪টি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে  ১৪২.১০ স্ট্রাইক রেটে সংগ্রহ করেছেন ১০৮ রান। যেখানে ১১টি চারের সঙ্গে রয়েছে ৪টি ছয়। সর্বোচ্চ খেলেছেন ৫৩ রানের ইনিংস)।

স্টিভেন স্মিথ (৬ ম্যাচ মাঠে নামলেও ৪টিতে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন। ৯৭.১৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৬৯ রান। যেখানে ৫টি চার মেরেছেন। সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬ ম্যাচের ৬টিতেই ব্যাটিং করেছেন। ৭৮.২৬ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৩৬ রান করেছেন। যেখানে চার মেরেছেন ২টি। সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

ম্যাথিউ উড (৬ ম্যাচ খেলে ৪টিতে ব্যাটিং করে ১৬৪.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৭৪ রান করেছেন। চার মেরেছেন ৬টি ও ছয় মেরেছেন ৪টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ইনিংসের ফলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা পায় তারা)।

মার্কাস স্টয়নিস (৬ ম্যাচে ৪টিতে ব্যাটিং করে ১৩৭.৯৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৮০ রান। চার মেরেছেন ৭টি ও ছয় মেরেছেন ৩টি। তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৪০)।

অ্যাস্টন অ্যাগার (১ ম্যাচ খেলে ১টি ব্যাটিং করেছেন। ১০০ স্ট্রাইক রেটে ২০ রান করেছেন। যেখানে ছয় মেরেছেন ২টি। সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

মিচেল স্টার্ক (৬ ম্যাচ খেলে ১টি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। ২১৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ১৩ রান করেছেন। যেখানে একটি চার ও একটি ছয় মেরেছেন। সর্বোচ্চ রান ১৩)।

প্যাট কামিন্স (৬ ম্যাচ খেলে ১টি ব্যাটিং করেছেন। ৪০০ স্ট্রাইক রেটে ১২ রান করেছেন। যেখানে চার মারতে পারেননি ও ছয় মেরেছেন ২টি। শূন্য রানে একবারও আউট হননি। সর্বোচ্চ ১২ রানের ইনিংস খেলেছেন)।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং পারফরম্যান্স
অ্যাডাম জাম্পা (৬ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। মোট ২৩ ওভার বল করে ১৩১ রানের বিনিময়ে ৫.৬৯ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ১২ উইকেট।  সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানে পাঁচ উইকেট। একবারই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি)।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬ ম্যাচ খেললেও বোলিং করতে পেরেছেন ৫ ম্যাচে। মোট ১১ ওভার বল করে ৬.৫৪ ইকোনমিতে ৭২ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৬ রানে ১ উইকেট)।

মিচেল মার্শ (৫ ম্যাচ খেললেও বোলিং করতে পেরেছেন ২ ম্যাচে। মোট ৪ ওভার বল করে ৬.৭৫ ইকোনমিতে ২৭ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি)।

প্যাট কামিন্স (৬ ম্যাচ খেলে বোলিং করেছেন ৬ ম্যাচেই। মোট ২০ ওভার বল করে ৭.৫০ ইকোনমিতে ১৫০ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩৪ রানে ২ উইকেট)।

জশ হ্যাজেলউড (৬ ম্যাচ খেলে বোলিং করেছেন ৬ ম্যাচেই। মোট ২০ ওভার বল করে ৭.৯৫ ইকোনমিতে ১৫৯ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩৯ রানে ৪ উইকেট)।

মিচেল স্টার্ক (৬ ম্যাচ খেলে বোলিং করেছেন ৬ ম্যাচেই। মোট ২৩ ওভার বল করে ৮.১৭ ইকোনমিতে ১৮৮ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২১ রানে ২ উইকেট)।

মার্কাস স্টয়নিস (৬ ম্যাচ খেলে বোলিং করেছেন ১ ম্যাচেই। মোট ৩ ওভার বল করে ১১.৬৬ ইকোনমিতে ৩৫ রানের বিনিময়ে কোনও উইকেট তুলে নিতে ব্যর্থ হন)।

ফাইনালের সম্ভাব্য একাদশ
অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথিউ উড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউপ ও অ্যাডাম জাম্পা।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন