আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বঙ্গভবন থেকে বিদায় নিলেন আবদুল হামিদ

রোববারই ছিল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শেষ কার্যদিবস। তিনি আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে এক শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে তার দুই মেয়াদে দেশের সর্বোচ্চ পদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গভবনের ৫২ বছরের ইতিহাসে এটি বিরল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মোঃ শাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হলেন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার পরিবার নিয়ে নাগরিক জীবনে গণমানুষের কাতারে আবার সামিল হলেন। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত চৌকস অশ্বারোহী দল বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এসময় বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবন গেট থেকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান। মাঝখান দিয়ে খোলা জিপে করে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে যান। তার খোলা জিপে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। সেখান থেকে তাকে শেষবারের মতো মোটর শোভাযাত্রায় নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। পরে আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আবদুল হামিদ নবম সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। আবদুল হামিদ এর আগে ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার পর থেকে সাতবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন