আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতিসংঘ প্রস্তাব রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথমবারের মতো ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। কারণ, দীর্ঘমেয়াদী সংকট সমাধানে এতে রাশিয়া ও চীনসহ সব দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। এমনটাই বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) আলোচনায় অংশগ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে ঐকমত্যের মাধ্যমে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের পরিস্থিতি’ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘ।

এটা আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ দিন, আমরা খুব খুশি উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, এটি দেখিয়েছে সব দেশ রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। চীন, রাশিয়ার মতো যেসব দেশ এর আগে (বিষয়টি নিয়ে) বাধা সৃষ্টি করেছিল। এবার তারা বাধা সৃষ্টি করেনি। যার অর্থ সবাই সংকটের সমাধান চায়।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। চীন ইতোমধ্যে কিছু হস্তক্ষেপ করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাধ্যতামূলক না হওয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি)  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি দেখার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জুনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রস্তাব থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ, রোহিঙ্গা সমস্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা (সেই সময়) বলেছিলাম, যদি আপনারা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে কথা না বলেন, তবে প্রস্তাবনা অর্থহীন হবে।’ 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন