শক্তিশালী ভূমিকম্প আবারও আঘাত হানল ইন্দোনেশিয়ায়
নিউজিল্যান্ডের পর এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হেনেছে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ভোরের দিকে দেশটির ভূমিকম্পপ্রবণ সুমাত্রা দ্বীপ শক্তিশালী কম্পনে কেঁপে ওঠে। তবে প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল উত্তর সুমাত্রা দ্বীপের দক্ষিণ নিয়াস অঞ্চলের তেলুক দালাম শহরের ১৭০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকা। প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির আফটার শক ছিল ৫ দশমিক ৮ মাত্রার।
ধারণা করা হচ্ছিল, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় সুনামি আঘাত হানতে পারে। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। ইন্দোনেশিয়ার মিটিওরোলজি, ক্লাইমেটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সি সুনামি সতর্কতা জারি করে কিছুক্ষণ পরই তা তুলে নেয়।
তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারপরও তারা সমুদ্রের গতিবিধি নজর রাখছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১ সেন্টিমিটার উঁচু ঢেউয়ের সুনামি দেখা দিয়েছিল। তবে সেটি মারাত্মক কিছু নয়।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রকাশিত ভিডিও থেকে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় লোকজন সুনামির ভয়ে স্রোতের মতো উঁচু ভূমির দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। কেউবা দৌড়ে আবার কেউবা মোটরসাইকেলযোগে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেছেন, ‘প্রাদেশিক রাজধানী পাডাংসহ পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের কিছু অংশের বাসিন্দারা প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে ভূমিকম্পটি তীব্রভাবে অনুভব করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেনতাওয়াই দ্বীপের বেশ কয়েকটি গ্রামের অনেক বাসিন্দা সুনামি এবং আফটার শকের ভয়ে উচ্চ ভূমিতে যেতে শুরু করেছিলেন।’
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২৭ কোটি মানুষের দেশ। দ্বীপপুঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।