আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চলছে সুদানে

সুদানে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে সামরিক বাহিনীর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো ১৫ এপ্রিল থেকে যুদ্ধ চলছে সুদানে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০০ মানুষ।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, সুদানের পার্লামেন্টারি আর্মি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ছে দু পক্ষ।

সর্বশেষ ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি এই যুদ্ধের মধ্যে ঘোষণা করা তৃতীয় চুক্তি। তবে কার্যত এতে সমাধান আসেনি।

এ লড়াইয়ে এরই মধ্যে কূটনীতিক ও তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে বেশ কিছু দেশ।

বিবিসি বলছে, মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি সুদানে। এ অবস্থাতে পদক্ষেপ নেয় দেশগুলো।

সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়। বেশ কিছু দিন ধরে চলা সহিংসতায় রাজধানী খার্তুমে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ ও বন্দুকের গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

খার্তুমের বাসিন্দারা বলছেন, যে শহরে ঈদের সময়টায় পরিবেশ উৎসবমুখর থাকে, সেখানে এখন বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।

সংঘাতের বিষয় বস্তু

বিবিসি জানিয়েছে, সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে।

দেশটিতে বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এই ঘটনা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ-যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু, সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার জন্য।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন