আর্কাইভ থেকে জাতীয়

লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের

কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ১৩টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতরা।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী ঢাকাস্থ মিশন প্রধানগণ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আইনি হেফাজতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি। মুশতাক আহমেদ ২০২০ সালের ৫ মে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ধারায় বিচারপূর্ব আটক অবস্থায় ছিলেন। আমরা জেনেছি যে, বেশ কয়েকবার তাকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে এবং আটকাধীন অবস্থায় তার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর একটি দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ ও এর প্রয়োগে আমাদের সরকারগুলোর যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানের প্রতি বাধ্যবাধকতার সাথে এই আইনের সামঞ্জস্য সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাবো।’

যৌথ বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া প্রিফোনটেইন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইন অ্যাস্ত্রাপ পিটারসেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেঞ্চে টিয়েরিংক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন স্কু, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারভেইজ, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অ্যাসপেন রিক্টার-সেন্ডসেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন