আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

রাজ্জাক, আশরাফুল, মাশরাফির পথেই লিটন দাস

পারিবারিক জরুরি কারণে আইপিল ছেড়ে দেশে ফিরেছেন লিটন কুমার দাস। প্রথমবারের মতো আইপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। সুযোগও পেয়েছিলেন মাত্র এক ম্যাচের জন্য। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার থেকেও বাজে উইকেট কিপিং এর জন্য পড়েছিলেন তোপের মুখে। এরপর আর একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি লিটনকে।

এমনিতেও বাংলাদেশিদের আইপিএল ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। এর আগেও আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মরতুজারা আইপিলে খেলার ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ পেয়ছিলেন ওই এক ম্যাচেই।

২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাক পেয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাক। ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে এই বাঁ হাতি স্পিনারকে কিনেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে মাত্র একটিই ম্যাচ খেলেছিলেন রাজ্জাক। রাজস্থান র‍য়্যালসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ২ ওভারে ২৯ রান দিয়ে পাননি কোন উইকেট। এরপর আর একাদশেই সুযোগ হয়নি তার।

আইপিএলে দ্বিতীয় আসরে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারে মোহাম্মদ আশরাফুলকে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তিনিও রাজ্জাকের মতোই একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন। দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের বিপক্ষে ১০ বল খেলে নামের পাশে মাত্র ২ রান তুলতে পেরেছিলেন আশরাফুল। এরপর আর একাদশে ফিরতে পারেননি তিনি।

২০০৯ সালের দ্বিতীয় আসরে খেলেছিলেন আরও একজন বাংলাদেশি। তিনি হলেন মাশরাফি বিন মরতুজা। নিলামে টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়কে অনেক হাক ডাক দিয়ে ৬ লাখ মার্কিন ডলার দামে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। যা এখন পর্যন্ত আইপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দাম। তিনিও সুযোগ পেয়েছিলেন ওই একটি ম্যাচই। ডেকান চার্জার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। কলকাতার অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বল মাশরাফির হাতে তুলে দেন। কিন্তু সেই ওভারে তিনি খেয়ে বসেন ২টি ছয় ও ২টি চার। ৪ ওভারে ৫৮ রান খরচ করে আর একাদশে সুযোগ হয়নি তার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন