আর্কাইভ থেকে ঢালিউড

শাকিবের দুষ্টু চিন্তা ছিলো

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এর আগে অভিনেতার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা মামলার বিষয়টি বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে রাজধানীর বিজয় নগরের সাইহাম স্কাইভিউ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন।

আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা বলেন, প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন শাকিব। উল্টো প্রযোজক রহমত উল্লাহকে ভুয়া প্রযোজক এবং প্রতারক বলে আখ্যা দিয়েছেন শাকিব, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তাই পাল্টা শাকিবের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি দুটি মামলা করেছেন রহমত উল্লাহ। যদিও শাকিবকে সুযোগ দেয়ার পরও কোনো লাভ হয়নি; বরং বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। শাকিবের দুষ্টু চিন্তা ছিলো।

এদিকে প্রযোজক রহমত উল্লাহ বলেন, আমি চেয়েছিলাম বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে শেষ করতে, তবে শাকিব সেটা চায়নি। সে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছে, যেটা খুবই হাস্যকর। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় যে নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে, সেটিও শাকিব বাড়িয়ে বলেছে। আমি চেয়েছিলাম মুভিটির কাজ শেষ করার পর আরও দুই প্রযোজকসহ একসঙ্গে বসে কথা বলব, তবে শাকিব সেটি না করে আমি চলে যাওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই এখন পুরো বিষয়টি আইনের মাধ্যমেই সমাধান করব।

এর আগে গেল ১৩ এপ্রিল মানহানির অভিযোগে তিনি আরেকটি মামলা করেছিলেন শাকিবের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, গেল ১৫ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর মিথ্যা আশ্বাস, অসদাচরণসহ বেশ কিছু বিষয়ে লিখিত শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার এই প্রবাসী প্রযোজক।

ওই ঘটনার পর গেল ২৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন শাকিব খান।

এ সময় আদালত অভিনেতার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ওই দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান রহমত উল্লাহ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন মঞ্জুর করেন রহমত উল্লাহর।

অভিযোগপত্রে রহমত উল্লাহ উল্লেখ করেন, নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন