আর্কাইভ থেকে অপরাধ

এলজিইডির গাড়ি চালক সাবুর প্রতারণার সাম্রাজ্য

অবৈধ উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেকের মতো আরেক দূর্ণীতিবাজ ও প্রতারকের  উত্থান হয়েছে পঞ্চগড়ে।  মো. শফিকুল ইসলাম, ওরফে সাবু (৫৫) নামে এলজিইডির ওই গাড়ি চালক নিজেকে কখনো কখনো পরিচয় দেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। সে গড়ে তুলেছে বিশাল এক জালিয়াত চক্র। জাল দলিল বানিয়ে সহজ সরল মানুষের   জমি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই এই চক্রের পেশা। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত তাদের প্রতারণার সাম্রাজ্য।  সাবু ও তার সহযোগীদের এমন আগ্রাসনের শিকার হয়েছে বেসকারি সংস্থা ‘সুবসতি’। 

কৃষি খামার গড়ার উদ্দেশ্যে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ চরতিস্তাপাড়া ও নীলফামারী জেলার ডোমার থানার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে জমি কেনে বেসকারি সংস্থা ‘সুবসতি’। ২০১২ সালে নিজের সরকারী চাকুরীর তথ্য গোপন করে ‘সুবসতি’র কৃষি খামার ও অন্যান্য সম্পত্তি দেখভালের জন্য কেয়ারটেকার পদে যোগ দেয় সাবু। পর্যায়ক্রমে সুবসতির সাবেক এবং বর্তমান সভাপতি, সহ-সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে জনৈক মো. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকের কাছে প্রায় সাড়ে ১১ একর জমি বিক্রি করে দেয় প্রতারক মো. শফিকুল ইসলাম সাবু।

নিজে মালিক সেজে ‘সুবসতি’র বিপুল পরিমান জমি অহেদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে লিজ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ১৪ লাখ টাকা। সংস্থাটির জমি অবৈধভাবে দখল করে কোথাও কোথাও নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে সে। ‘সুবসতি’র জমিতে সাবুর নামে সাইনবোর্ড লাগানোর বিষয়টির খোঁজ-খবর নিতে  সংস্থা থেকে মো. লিমন ও মো. শামীম নামে দুজন গেলে মো. শফিকুল ইসলাম সাবু তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। 

‘সুবসতি’র  রংপুর ডিভিশনের কো-অর্ডিনেটর মো. সুরুজ্জামান বলেন, শফিকুল ইসলাম তাদের জমির মামলা-মোকদ্দমা মীমাংসার জন্য সংস্থার ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে সাবু। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতারণামূলক অপকর্ম করে হাতিয়ে নিয়েছে সংস্থাটির কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।

এ ব্যাপার বক্তব্য জানতে মো. শফিকুল ইসলাম সাবুর মুঠোফোনে যোগোযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন