আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আলেশা মার্টের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের অফিশিয়াল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বুধবার মধ্যরাতে (রাত ৩টায়) নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তারা তাদের অফিশিয়াল কার্যক্রম বেন্ধের ঘোষণা দেন। 

প্রতিষ্ঠানটি পোস্টে উল্লেখ করে, অনাকাঙ্খিত ও নিরাপত্তাজনিত কারণবশত আলেশা মার্ট-এর সমস্ত অফিসিয়াল কার্যক্রম আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

গতকাল (১ ডিসেম্বর, বুধবার) আমাদের অফিসে কতিপয় লোক দ্বারা অফিস কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তোলা এবং বল প্রয়োগের চেষ্টার কারণে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, বলপ্রয়োগকারীরা আমাদের কাস্টমার নয়, তাদের পেমেন্ট সিডিউল ছিল না এমনকি এসএমএস পায়নি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাওয়ার পরই পুনরায় আমাদের কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আলেশা মার্ট-এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
 
তবে এ নিয়ে আলেশা মার্টের ঊর্ধ্বতন কেউ কথা বলেন নি। 

আলেশা মার্টের বনানীর একটি কর্পোরেট এবং একটি রেজিস্ট্রার্ড অফিস,  এছাড়াও তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ারে তাদের আরেকটি অফিস যেখানে টাঙানো হয়েছে এ নির্দেশনা। গ্রাহকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গক্রমে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি অনলাইনে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে আলেশা মার্ট। অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টে বিশেষ মূল্যছাড়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ৫ দফা ক্যাম্পেইন চালানো হয়। এসব ক্যাম্পেইনে ৪৫ হাজার গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দেন। চার দফায় ক্যাম্পেইনের পণ্য ডেলিভারিও দেওয়া হয়। তবে পঞ্চম দফায় সাত হাজার ৩০০ গ্রাহকের অর্ডারের মোটরসাইকেল দিতে পারেনি আলেশা মার্ট। এসব অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকদের অন্তত ২০০ কোটি টাকা আটকে গেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটিতে।

উত্তরা মোটরসের তেজগাঁও এলাকার ডিলার এসকে ট্রেডার্সের কাছ থেকে মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে গ্রাহকদের দিয়েছে আলেশা মার্ট। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে নজরদারি এবং বকেয়া বাড়ায় আগস্ট মাস থেকে আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

ই-ভ্যালিসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা অনুসন্ধান শুরু করলে ক্রেতাদের টাকা ফেরত দিতে সময় নেয় অলেশা মার্ট। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বনানীর প্রধান কার্যালয়ে কাস্টমার কেয়ার কার্যক্রম বন্ধ হলে শীর্ষ কর্তারা গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন