নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের সময় এসেছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
আজকের বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নিরাপত্তা পরিষদ ও ব্রেটন উডস ব্যবস্থা উভয়েরই সংস্কারের সময় এসেছে। বললেন জাতিসংঘের মহাসিচব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
রোববার (২১ মে) জাপানের হিরোশিমায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জি৭ জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে জাপানের ঐতিহাসিক এই শহরে।
গুতেরেস বলেছেন, উভয় প্রতিষ্ঠানই ১৯৪৫ সালের সাথে সংশ্লিষ্ট শক্তির সম্পর্ক প্রতিফলিত করে এবং এখন তা হালনাগাদ করা দরকার। বৈশ্বিক আর্থিক কাঠামো পুরোনো, অকার্যকর এবং অন্যায্য হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে উভয় ব্যবস্থা (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও ব্রেটন উডস) বিশ্বজুড়ে সুরক্ষা জাল হিসাবে তার মূল কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভাবনা রয়েছে যে পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার বা গ্লোবাল সাউথের ‘হতাশা দূর করার’ জন্য ওই দুই ব্যবস্থা যথেষ্ট কাজ করছে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত জানুয়ারিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছর ও আগামী ২০২৪ সালে ভারতের অর্থনীতির ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটবে। ওই সময় আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক পিয়েরে-অলিভিয়ার গৌরিঞ্চাস বলেছিলেন, ২০২৩ সালে চীন ও ভারত একসাথে বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখবে।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ বছরে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ এর অর্থনৈতিক প্রভাবও সঙ্কুচিত হয়েছে। ১৯৮০ সালে এই জোটের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও ২০২৩ সালে তা ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।
জি৭ জোটের শীর্ষ এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ জাপান তথাকথিত গ্লোবাল সাউথ থেকে হিরোশিমায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর একটি পয়েন্ট তৈরি করেছে। এবারের সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ছিলেন।