শাহরুখকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতেন সুহানা!
২২ মে জীবনের তেইশটি বছর পার করলেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান। তার জন্মদিনের আমেজে খুশিতে ভাসছে বলিপাড়া। শাহরুখ এবং গৌরী খানের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা সুহানা যেমন পেয়েছেন পিতার আদল, তেমনই পেশার দিক থেকেও পিতার পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন তিনি। খুব শীঘ্রই বলিউডে মুক্তি পাবে সুহানা অভিনীত প্রথম ছবি, ‘দ্য আর্চিজ’।
বিলাসব্যসনের মধ্যে বড় হলেও তারকাসন্তানদের নানাবিধ অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর পাঁচ জন শিশুর মতো স্বাভাবিক ভাবে সর্বত্র ঘোরাফেরা করতে পারে না তারা। স্কুলে যাওয়ার সময় খারাপ লাগত সুহানারও।
এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ-কন্যা বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলাম যে, কিছু ব্যাপার আমাদের ক্ষেত্রে আলাদা। আগে কখনও ভাবিনি আমার বাবা কতটা বিখ্যাত মানুষ, যখন আমার ৫ বছর বয়স বাবা স্কুলে দিতে আসত। আমি চাইতাম সবাই তাকে সুহানার বাবা বলে চিনুক।
যেটা কখনওই হত না। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকত বাবা এলেই। নামানোর সময়ে বাবা জড়িয়ে ধরতে গেলেই আমি ঠেলে দিতাম তাকে। গাড়িতেই থাকতে বলতাম। অহেতুক লোকের কৌতূহল বাড়ানো আমার ভাল লাগত না।”
তারকার সন্তান হয়ে বেড়ে ওঠার নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন সুহানা। জানান, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের সঙ্গেও বোঝাপড়ায় আসেন। শেষে সুহানাই একদিন উপলব্ধি করেন, শাহরুখ খান নন, সবার আগে তিনি সুহানার বাবা! সুহানার কথায়, “স্কুলে ছাড়তে আসার সময় আমার বাবাকে সবার সামনেই জড়িয়ে ধরা উচিত ছিল, কারণ আমারই তো বাবা!”
সম্প্রতি এক প্রসাধনী সংস্থার মডেল হয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেখা দিয়েছেন সুহানা। তরতরিয়ে এগোচ্ছে তার ক্যারিয়ার, যা নিয়ে গর্বিত পিতা শাহরুখও।
কন্যাকে শুভেচ্ছায়, আদরে ভরিয়ে দেন তিনি। সুহানাও তাকে প্রকাশ্যেই ভালবাসা জানান। বাবা-মেয়ের সম্পর্ক যে এখন কতটা সহজ, তা তাদের একত্র উপস্থিতি বা সমাজমাধ্যমে কথোপকথনেই স্পষ্ট হয়।