ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলায় ফালুর খালাসের রায় বহাল
ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজ করে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে মোসাদ্দেক আলী ফালুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে, ২০২১ সালের জুনে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।
সাবেক জরুরি তত্ত্বাবধয়াক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক ফালুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২০০৮ সালে এ মামলায় বিচারিক আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ওই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলা বাতিলে হাইকোর্ট আবেদন করেন ফালু। সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ বুধবার মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সরকারিভাবে গরিব মানুষের জন্য চার লাখ টাকার টিন বরাদ্দ হয়। তিনি ত্রাণের এসব টিন বিতরণ না করে নিজের লোকজনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে মামলার শুনানি শেষে ঢাকার ৬নং স্পেশাল জজ সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে ২০০৮ সালের ২ জুন রায় দেন। রায়ে নিম্ন আদালত মোসাদ্দেক আলী ফালুকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন এবং ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোসাদ্দেক আলী। আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০১৩ সালের ২২ মে তাকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে। আপিলের শুনানি গ্রহণ করে খালাসের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ।