আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশ : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী। তবে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮১তম বিএমএ লং কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্যারেডে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুখ-দুঃখে সাধারণ মানুষের অংশীদার হতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে। দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী প্রশংসা অর্জন করেছে। দেশ-বিদেশে অর্জিত সেই সুনাম ধরে রাখতে হবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষ, শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে- এটিই আমার প্রত্যাশা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম। জাতির পিতা তার দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের উপযোগী উন্নত এবং পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। এ কারণেই দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু কুমিল্লা সেনানিবাসে ‘বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালেই প্রণয়ন করেছিলেন আমাদের ‘প্রতিরক্ষা নীতি’। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা প্রণীত সুদূর প্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’প্রণয়ন করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান এবং গোলন্দাজ কোরে মাঝারি ও দূরপাল্লার এমএলআরএস রেজিমেন্ট। আকাশ বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় সোরাড, ভিসোরাড ও সর্বাধুনিক অরলিকন মিসাইল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষায় সূচিত হয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।

শেখ হাসিনা বলেন, এসব অস্ত্র-সরঞ্জামাদির জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও বিপুল সংখ্যক নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও নানাবিধ অস্ত্র-সরঞ্জামাদি, ভৌত কাঠামোর সংযোজন ও সম্প্রসারণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে মহিলা অফিসার নিয়োগ দেয়। ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। আজকের এই শুভক্ষণে আমি সব নবীন অফিসারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন