দ্বিতীয় বিয়ে ও বয়স নিয়ে যে বার্তা দিলেন আশিস বিদ্যার্থী
প্রেম, সে তো ঈশ্বর প্রদত্ত! তাই সেখানে নাকি বয়সের হিসাব রাখতে নেই। আর সেই প্রেম যদি পরিণতি পায় বিয়েতে, তা হলে তো তার জেল্লাই আলাদা। শুনতে খুবই সিনেম্যাটিক হলেও বাস্তবে তার প্রমাণ রাখলেন বলিউড অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ষাট বছর বয়সে এসে আবারও বিয়ে করলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা।
গত বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠীর দিনই বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছেন আশিস। ৫৭ বছর বয়সে এসে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করলেন আসামের ফ্যাশন ডিজাইনার রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। অভিনেতার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় চরম ট্রল। কেউ কেউ আবার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এবার অভিনেতা নিজেই সমস্ত কিছু নিয়ে মুখ খুললেন।
আশিষ বিদ্যার্থী শুক্রবার রাতে ফেসবুকে লাইভ করেন। সেখানে তিনি যেমন তার প্রাক্তন স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীকে নিয়ে কথা বলেন তেমনই জানালেন কীভাবে তার আলাপ হয়েছিল রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। তাদের সম্পর্কের নানা অজানা কথা প্রকাশ্যে আনলেন এদিন।
আশিষ তার ভিডিওতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তার বা পিলুর কারও একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনো রাগ নেই। তারা তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দুজনের সম্মতিতে শেষ করেছেন। তাদের ২২ বছরের বিবাহ জীবন ভাঙার কারণও এদিন জানান আশিষ।
অভিনেতা তার লাইভে এসে বলেন, ‘দিনশেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। বিয়ে করেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও আজ বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমি আর পিলু ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম যে আমরা আর ভালো নেই।
‘বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতটা অনেকটাই আলাদাভাবে দেখি। যদিও আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তারপর বুঝি এতে কেবল একে অন্যের ওপর বোঝা হয়ে থাকব আমরা। তাই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে ফেসবুক লাইভে আশিষ তার দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণ জানান। পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনেন কীভাবে তার সঙ্গে রুপালির আলাপ হয়েছিল।
অভিনেতার কথায়, ‘আমি কারও সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কারও হাত ধরতে চেয়েছিলাম। এই ভাবনাটা আজ নয়, ২ বছর আগেই এসেছিল। আমার যখন ৫৫ বছর বয়স তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি আবার বিয়ে করব। তখনই আমার আলাপ হয় রুপালির সঙ্গে। আমরা কথা বলা শুরু করি। তারপর গত বছর আমরা দেখা করি। তখনই আমরা একে অন্যের প্রতি আকর্ষিত হই এবং মনে হয় যে বাকি জীবন আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কাটাতে পারি।’
আশিষ তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার বয়স বয়স আসলে ৬০ নয় ৫৭, স্ত্রী রুপালি বড়ুয়ার ৫০। কিন্তু তাতে কী? বয়সে কী আসে যায় বন্ধু? জীবনে সবাই খুশি হতে পারে বয়স যাই হোক না কেন। তাই সম্মানের সঙ্গে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।’