আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মুরাদের বিরুদ্ধে এবার রাজশাহীতে ডিজিটাল আইনে মামলা

সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার রাজশাহীতে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এ মামলা করা হয়।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। মামলায় ভার্চুয়াল টকশো’র উপস্থাপক শেখ মহিউদ্দিন হেলালকেও আসামি করা হয়েছে।

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইসমত আরা জানান, আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে, এ বিষয়ে আদেশ পরবর্তীতে জানাবেন।

এদিকে, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

এ মামলার অপর আসামি হলেন- মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মুরাদ হাসান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ও আসামি নাহিদ ডিজিটাল মিডিয়া উপস্থাপক। গেলো ১ ডিসেম্বর আসামি নাহিদ আসামি মুরাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যা পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকারে মুরাদ উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও মর্যদাহানীকর ভাষা ব্যবহার করেন।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে মুরাদ হাসানের মন্তব্যের সমালোচনার মধ্যেই তার একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়। এতে মুরাদ একজন নায়িকাকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে তুলে আনার ও ধর্ষণে হুমকি দেন। এতে বিব্রত অবস্থায় পরে সরকার। মন্ত্রিসভা থেকে মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর কানাডার পথে রওয়ানা করেন মুরাদ। তবে দেশটিতে ঢুকতে দেয়া হয়নি তাকে। বর্তমানে তার অবস্থান নিয়ে কোনও নির্বরযোগ্য তথ্য জানা যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন