আর্কাইভ থেকে এশিয়া

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের লড়াই

চতুর্দশ দালাই লামার উত্তরাধিকার নিয়ে পানি ঘোলা হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের বিবাদমুখর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গেল ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে তিবেতান পলিসি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট ২০২০ টিপিসিএ আইন পাস হওয়ার পর থেকে এ পরিস্থিতির শুরু। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের যৌথ উদ্যোগে পাস হয়েছে ওই আইন। আইনের বিষয়বস্তুতে উঠে এসেছে তিব্বতি মালভূমি অঞ্চলের প্রতিবেশগত সুরক্ষা থেকে শুরু করে সেখানকার মানবাধিকার এমনকি দালাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচন পর্যন্ত।

সম্প্রতি ’দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অ্যান্ড চায়না আর ফাইটিং ওভার দ্য দালাই লামা রিইনকারনেশন প্ল্যানস’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণধর্মী খবর ছেপেছে ফরেইন পলিসি।

এতে দালাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচন নিয়ে বলা রয়েছে, এটি পুরোপুরি তিব্বতের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু ও সেখানকার বাসিন্দাদের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। চীনা কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করলে তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে ওয়াশিংটন। বিষয়টি ক্ষেপিয়ে তুলেছে বেইজিংকে। জাতীয়তাবাদী চীন কখনই সাবেক কিং সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা অঞ্চলটির ওপর থেকে দাবি ছাড়েনি। একইসঙ্গে ছাড়েনি সেখানকার ধর্মগুরু নির্বাচনের অধিকারও।

এটি শুধু বেইজিংয়ের বলে দাবি চীনের। দেশটির ভাষ্য, কিং সম্রাটদের স্বীকৃতির ভিত্তিতেই তিব্বতের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু নির্বাচিত হয়েছে। পরের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চীন সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

গেল ডিসেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটিতে সই করার পর থেকেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলা হয়ে উঠেছে। একটি বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান অভিযোগ তুলে বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, ট্রাম্পের ওই আইনের পর এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে ভারতীয় গণমাধ্যম। এতে আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করতে থাকে চীন। এ নিয়েও ক্ষুব্ধ বেইজিং।

তবে, চতুর্দশ দালাই লামা বলছেন, ৯০ বছর হওয়ার পরই উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে নির্বাচিত করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন