তৃতীয়বারের মতো ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
আবারও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ইতিহাসে রান-অফ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। রোববার (২৮ মে) ঘোষিত বেসরকারি ফল অনুসারে, ৯৮শতাংশ ভোট গণনার পর তিনি পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
গণনাকৃত ৯৮ শতাংশের মধ্যে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পেয়েছেন ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪ এবং কিলিদারোগলু পেয়েছেন ২ কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৯ ভোট। নির্বাচিত হওয়ার ফলে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ৯ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোয়ানের পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোয়ানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।
চলমান এই পরিস্থিতির মাঝে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ানের সাথে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।
বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে তুরস্কের উচ্চ নির্বাচন বোর্ডের প্রধান আহমেদ ইয়ানার এক সম্মেলনে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, রোববারের ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুর চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। প্রাথমিকভাবে ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনায় এরদোয়ান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ এবং কিলিচদারোগলু ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র বলেছিলেন, এই ফল দেখিয়ে দিচ্ছে এরদোয়ানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন।
ফল ঘোষণায় এগিয়ে থাকা অবস্থাতেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবান। তিনি এটিকে এরদোয়ানের প্রশ্নাতীত নির্বাচনী হয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দিবেইদেহ ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি।