আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। একই সঙ্গে কেন তা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রুল জারির পাশাপাশি আদালত সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাকিলা রওশন, অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম ও অ্যাডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। রোববার বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন আদালত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী উত্তম লাহেড়ির পক্ষে রিটটি করা হয়। এরআগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়।

রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জানতে পারে। এ কারণে পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র এখন সময়ের দাবি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন