আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মুরাদের সাংসদ পদ রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত স্পিকারের: হাইকোর্ট

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নেবেন স্পিকার। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এক শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ডা. মুরাদের সাংসদ পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে আদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আদালত। তারা বলেন, এটি জাতীয় সংসদের স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।

এদিন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর হরমানের বেঞ্চ এসব কথা জানান। তারা বলেন, সংক্ষুদ্ধ যে কোনো ব্যক্তি ডা. মুরাদের এমপি পদ চ্যালেঞ্জ করে স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। তবে রিট আবেদনটি এই পর্যায়ে অপরিপক্ক।

সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কিত ও বেসামাল মন্তব্য করে জনরোষে পড়েন ডা. মুরাদ। বিশেষত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়লে।

এর জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ। পরে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন তিনি।

তবে এখনও আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদে আছেন ডা. মুরাদ। জাতীয় সংসদের সদস্যপদেও রয়েছেন তিনি। তবে এগুলোও হারাতে পারেন এই রাজনীতিবিদ বলে শঙ্কা দেখা দেয়!

এ অবস্থায় দেশত্যাগের চেষ্টা করেন ডা. মুরাদ। কানাডার উদ্দেশে উড়ালও দেন তিনি। তবে করোনা প্রটোকল না মানায় দেশে ফিরতে বাধ্য হন এই রাজনীতিক। ইতোমধ্যে তার সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন এক ব্যক্তি।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন