রাজশাহীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত সেই সুমন বাহিনীর হামলায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরপ্রার্থীসহ তিনজন ছুরিকাহত হয়েছেন। এসময় দুই কাউন্সিল প্রার্থী আশরাফ বাবু ও সুমনের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তৌহিদুল হক সুমন ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরদিকে আশরাফ বাবু মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ছুরিকাঘাত হলেন- কাউন্সিলরপ্রার্থী ও মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবু (৪৭), তাঁর সমর্থক রেজাউল করিম রেজা (৪২) ও জয় হোসেন (৩২)। তাঁদের তিন জনকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হগাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনী এক নম্বর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দুই কাউন্সিলরপ্রার্থীই মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফ বাবু। তাঁর গ্রুপের সঙ্গে মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের সমর্থকদের সমর্থকদের সঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আশরাফ বাবু অভিযোগ করে জানান, তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে তৌহিদুল হক সুমনের কয়েকজন সমর্থক ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সুমনের সমর্থকরা আশরাফ বাবুর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। এতে তার হাত জখম হয়। এছাড়াও তার আরও দুই সমর্থক ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পরে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশরাফ বাবু এবং বর্তমান কাউন্সিলর সুমনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করেছে। বছর ছয়েক আগে এক যুবককে যৌন নিপিড়নের ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন আশরাফ বাবু। এছাড়াও রেলের টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। যৌন নিপিড়নের অভিযোগেই সুমনকে মহানগর যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে কাউন্সিলরপ্রার্থী তৌহিদুল হক সুমন বলেন, আমার কোনো লোকজন আশরাফ বাবুকে মারপিট করেনি। তার লোকজনই আমার কয়েকজন সমর্থককে পিটিয়েছে। কয়েকজনের বাড়িতে হামলা করেছে।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এলাকায় উত্তেজনা আছে। পুরিশ সতর্ক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।