ডিজিটাল আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের জামিন
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, রাসেলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
প্রতারণার দায়ে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর মো. রাসেল তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন। ওই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরে অবশ্য তার স্ত্রী জামিনে মুক্তি পান।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ওই দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান অভিযোগকারী। ইভ্যালির অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি তা পাননি।
এ মামলায় চলতি বছরের ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।