যে শর্তে মিয়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তি
সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন, ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে ‘চুক্তি সম্পন্নের কাজ এখনো শতভাগ শেষ হয়নি। কিছু বিষয় এখনো বাকি আছে।’ তবে ডেভিড বেকহামের ক্লাবের সঙ্গে মেসির চুক্তি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে কাল রাত থেকেই।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ মেসির সঙ্গে ইন্টার মিয়ামির চুক্তি হবে তিন মৌসুমের। প্রথম দুই মৌসুম শেষে চাইলে চলে যেতে পারবেন, এই শর্ত রাখা হবে চুক্তিপত্রে। আর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি অবশ্যই দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে।
তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’–এর দাবি, মেসিকে চার বছরের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্পেনের আরেক সংবাদমাধ্যম ‘রেলেভো’ অবশ্য দাবি করেছে, চুক্তিটা হবে দুই বছরের।
পিএসজির সঙ্গে ৩০ জুন চুক্তির মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে অফিশিয়ালি ইন্টার মিয়ামির হয়ে যাবেন মেসি। মিয়ামির তার বেতনের সঠিক অঙ্ক জানা যায়নি। তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, মৌসুমপ্রতি ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পাওয়ার পাশাপাশি অন্য কিছু খাত থেকেও আয়ের সুযোগ পাবেন মেসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানিয়েছে, অ্যাপল ও অ্যাডিডাস থেকেও আয় করবেন মেসি। দুটি প্রতিষ্ঠান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এমএলএসের ম্যাচগুলো দেখায় অ্যাপল টিভি প্লাস। নতুন সাবস্ক্রাইবারদের ম্যাচ দেখিয়ে যে আয় হবে, সেখান থেকে একটি অংশ মেসিকে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছে অ্যাপল ও এমএলএস। প্রায় ১০ বছরের জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে অ্যাপল ও এমএলএসের। গত মঙ্গলবার অ্যাপল জানায়, মেসির বিশ্বকাপ জয় নিয়ে চার পর্বের একটি ডকুমেন্টরি সিরিজ দেখানো হবে অ্যাপল টিভি প্লাসে, যা সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে দেখা যাবে।
জার্মানির ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এমএলএসের সবচেয়ে বড় করপোরেট স্পনসর। এমএলএসের সঙ্গে জড়িত থেকে অ্যাডিডাস যে আয় করবে, সেখান থেকে মেসির সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগ করে নিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র মারফত অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, মেসিকে নাকি এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এমএলএসের যাত্রা শুরুর পর থেকেই টুর্নামেন্টটির সঙ্গে আছে অ্যাডিডাস। এ বছরের শুরুতে এমএলএসের সঙ্গে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৮৩ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছে অ্যাডিডাস।
অ্যাথলেটিক আরও জানিয়েছে, খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে মেসি যেন এমএলএসে কোনো দলের মালিকানার অংশীদার হতে পারেন, ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে চুক্তিতে সেই সুযোগও রাখা হবে। লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ডেভিড বেকহামের সঙ্গে চুক্তিতে এমন সুযোগই রেখেছিল এবং পরে মিয়ামি কিনে নেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই মিডফিল্ডার।
তবে মেসির সঙ্গে মিয়ামির চুক্তি যেহেতু এখনো সম্পন্ন হয়নি, তাই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে সাতবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার কোন কোন খাত থেকে কী পরিমাণ অর্থ আয় করবেন, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এটা নিশ্চিত, ইন্টার মিয়ামির হতে যাচ্ছে মেসির নতুন ঠিকানা।