আর্কাইভ থেকে ছাত্র-শিক্ষক

ইবিতে তারুণ্য’র নতুন নেতৃত্বে মারুফ-প্রত্যয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন তারুণ্য’র ২০২৩-২৪ কার্যবর্ষের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির ১১৬ নং কক্ষে নির্বাচন শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও পঞ্চম সভাপতি মেহেদী হাসান সাকিব। ফল ঘোষণা শেষে নতুন নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনটির সভাপতি আশিফা ইসরাত জুঁই।

নির্বাচনে দুরন্ত পথিক ও অগ্রপথিক সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে ২১০ জন ভোটারদের মধ্য থেকে ভোটাররা প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করে ৬২  জন প্রার্থীর মধ্য থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বেছে নেন। দুপুর ৩ টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে গণনা ও ফলাফল পর্যালোচনার পর আগামী এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।

এর আগে দিনব্যাপী তারুণ্য’র ১৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও সুবাসিত সদস্য সংবর্ধনা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সদ্য সাবেক সভাপতি আশিফা ইসলাত জুঁইয়ের সভাপতিত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আব্দুল গফুর গাজী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও তারুণ্য’র সদস্য শাহ মোহাম্মদ নাঈম এবং রিয়া বসাকের সঞ্চালনায় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান নাদিম, তৃতীয় সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রিপণ, সাবেক সহ-সভাপতি ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম, তারুণ্য’র  সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দসহ সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সুবাসিত সদস্য সংবর্ধনা উপলক্ষে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে ৪৯  জন সুবাসিত সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, তারুণ্য একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন, যা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত। ‘অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত তারুণ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যর শক্তিকে কাজে লাগানো, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাবসম্পন্ন করে গড়ে তোলা, নেতৃত্ব দক্ষতা তৈরি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ গঠনে বইপাঠ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, বনায়ন, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা সহ নানাবিধ সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে তারুণ্য।

 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন