ভন্ডপীরের আস্তানায় চলতো অনৈতিক কার্যকলাপ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে লিচু দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে কথিত পীর মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন শাহ সুন্নি আল কাদেরী ওরফে মাওলানা প্রফেসর মো. ইকবাল হোসাইন।
সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিনের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাহিনীটির মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রোববার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, গেলো ২ জুন দুপুরে ভিকটিম শিশুটি ইকবালের বাড়ির পাশের মাঠে খেলছিল।
এ সময় ভিকটিমকে লিচু দেয়ার কথা বলে তার আস্তানায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। ভিকটিম সেখান থেকে পালিয়ে আসার পর তার মা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কথিত পীর আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার ইকবাল এবং তার অনুসারীরা ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়।
ইকবাল কুমিল্লার চান্দিনা এলাকার তথাকথিত একজন পীরের মুরিদ এবং একটি দরবার শরিফের অনুসারী ও প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে দাবি করে আসছিল। প্রতারণার উদ্দেশে দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে একটি আস্তানা গড়ে তোলে সে। সেখানে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ চলতো বলেও জানায় র্যাব।