আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

সাত স্তরের নিরাপত্তায় চলছে রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এরপর ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।

ভোট শুরুর পর সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়লে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলেও মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

রাসিক নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৫টি। এবারই প্রথম রাসিকের সব কেন্দ্রেই ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাসিক নির্বাচনে নেয়া হয়েছে সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনে সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় টহল দিচ্ছে ৩শ’ জন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এছাড়াও র‌্যাব-৫ এর ১৫টি মোবাইল কোর্ট ও স্ট্রাইকিং পেট্রোল, স্ট্রাইকিং ফোর্স কমান্ডারসহ ১০টি জীপ, ২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল, সুপার মোবাইল মোটরসাইকেল টিম নিয়োজিত আছে।

এছাড়াও ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মাঠে ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রয়েছে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ ও ১ হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। রয়েছে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছে ৩ হাজার ৬শ’ ১৪ জন কর্মকর্তা।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। রাসিক নির্বাচনে ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ১৪৮টি ভোট কেন্দ্রকে নিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

রাসিক নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থী রয়েছেন ৪ জন। সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এবার রাসিক নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা প্রতিক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল প্রতিক), ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুর্শিদ আলম (হাতপাখা প্রতিক) ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার গোলাপফুল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন