গাইবান্ধায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। প্রতিটি হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনা-বেচায় খুশি নন। ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরূপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলায় নিয়মিত এবং মৌসুমীসহ প্রায় ৪০ টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী হয়েছে। বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এ সময় এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু বিক্রি করে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য শেষমূহুর্তে পচ্ছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজার গুলোতে ভিড় করছেন। ঈদের কয়েকটা দিন বাকি থাকায় ঢাকা,চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকারেরা হাট-বাজারে ভিড় করলেও গো-খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গরুর দাম বেশি পড়ায় লোকসানের আশংকা পাইকারদের।
প্রতিহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি গরু-ছাগল পাওয়া যায় না। তাদের কারণে গরু-ছাগলের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারারা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা। জেলার নরশৎপুর গ্রামের খামারি হাফিজার বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে ব্যয় বেড়ে গেছে। একারণে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে এবার খামারিদেকে লোকসান গুনতে হবে।
উপজেলার ভরতখালী গ্রামের ছালাম মিয়া বলেন, কোরবানির জন্য পাঁচটি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। বেশী দাম দিয়ে গরুর খাবার কিনে খাওয়ানো হয়েছে। গরু পালনে যে টাকা খরচ হয়েছেন তার চেয়ে অনেক কম দাম বলছেন ক্রেতারা। এভাবে গরু পালনের পর কম দামে বিক্রি করলে তার অনেক ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
জেলার সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর কোরবানি পশু কিনতে আসা হাবীব শেখ বলেন, গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি। পশু পছন্দ হলেও সাধ্যর বাহিরে দাম চাওয়ায় কেনা সম্ভব হচ্ছে না। হাবীব, সামাদ ,হেলাল আমীর মতো আরও অনেক ক্রেতাই মনে করছেন, বর্তমান চড়া বাজার দরে পশু কিনে কোরবানি দেয়া তাদের কঠিন হবে।