কাঠুরিয়া সেজে অস্ত্র-গোলাবারুদ পাচার, ৪ রোহিঙ্গা আটক
সীমান্তবর্তী গহিন অরণ্যে ব্যবহার করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারকালে ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম অরণ্যে এ অভিযান চালানো হয়। মূলত ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেই এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে ধারণা করছে র্যাব। আর রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাফেরার কারণে সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও মাদক প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন পাহাড়ি অরণ্যে। এই অরণ্য দিয়ে যে কেউ চলাফেরা করতে ভয় পাবে। কিন্তু সীমান্তবর্তী এ গহিন অরণ্যকে অবৈধ অস্ত্র পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে অপরাধীরা।
এ রুট ব্যবহার করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রবেশ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান নেয় র্যাব। ঘিরে ফেলে পুরো গহিন অরণ্যটি। শুক্রবার ভোরে কাঁধে কাঠ নিয়ে কাঠুরিয়া সেজে ৪ জন লোক আসতে দেখে সন্দেহ হলে দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞেস ও তল্লাশি করলে কোমরে ২টি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। পরে অপর দুজন পালাতে চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাঁধে থাকা লাকড়ির বোঝাটি খুললে একে একে বেরিয়ে আসে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগাজিন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার জানায়, কাঠুরিয়া সেজে মূলত এই সীমান্তবর্তী রুট করে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার করা হচ্ছিল। মূলত ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেই এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ এ গহিন অরণ্য দিয়ে অবাধে চলাফেরা করছে রোহিঙ্গারা। এটি রোহিঙ্গাদের অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের আস্তানায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আটক ৪ জনই মিয়ানমারের নাগরিক। তারা সবাই উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা।
মুক্তা মাহমুদ