নোয়াখালীতে ফাঁড়িতে তরুণী ধর্ষণ, কনস্টেবলসহ কারাগারে ৪
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার বেষ্টনীর মধ্যে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলসহ (মুন্সি) চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
তারা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী জেলা সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯), বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।
দুপুরে অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সুধারাম থানার বেষ্টনীর মধ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালীর মাইজদীতে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে টাকার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্বপরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন। এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার চার আসামিকেই গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এসআই/