গরুর মাংস খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য কিছু পরামর্শ
গরুর মাংস খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভয় পান? নিয়ম মেনে দু–একবার আপনিও খেতে পারেন গরুর মাংস। গরুর মাংসে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামে সৃষ্ট যৌগ আছে, যা কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খান। গরুর মাংস খাওয়ার আগে জেনে রাখুন কিছু বিষয়, যা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখবে। পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ লিনা আকতার।
এক-গরুর মাংসে উচ্চমানের প্রোটিন আছে। তাই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি প্রোটিন বা সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি খাবেন না। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা শুধু মাংস দিয়েই পূরণ করবেন না।
দুই- রুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো—সপ্তাহে দুই দিন ১৫৪ গ্রাম করে। প্রতি বেলায় ২ থেকে ৩ টুকরোর বেশি নয়। এতে ৬২ ক্যালরি পাবেন, যা দৈনিক চাহিদার ৩ থেকে ৫ শতাংশ ক্যালরির জোগান দেবে।
তিন- যাদের থ্যালাসেমিয়া বা হেমাক্রোমাটোসিস নামে রক্তরোগ আছে, তাঁরা গরুর মাংস খাবেন না। কারণ, গরুর মাংসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে।
চার- যাদের বাতব্যথা বা ইউরিক অ্যাসিড বেশি আছে, তাঁরা গরুর মাংস এড়িয়ে চলবেন। কারণ, মাংসে পিউরিন (খাদ্য বিপাকের ফলে উৎপন্ন হওয়া পদার্থ) বেশি থাকে।
পাঁচ- যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাঁরা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে মাংস খাবেন।
ছয়- যাদের ওজন বা কোলেস্টেরল খুব বেশি, তাঁরা এক থেকে দুই টুকরার বেশি মাংস খাবেন না। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
সাত- যাদের গ্যাস্ট্রিক, আলসার, আইবিএস, লিভার বা অন্য কোনো পেটের সমস্যা আছে, তাঁরা ভুনা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল–মসলা এড়িয়ে চলবেন।
আট- যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ব্যতীত খাবেন না।
নয়- উচ্চ রক্তচাপের রোগী, হৃদ্রোগী ও কো-মরবিটির রোগীরা এক থেকে দুই টুকরা সলিড মাংস খেতে পারেন। তবে অবশ্যই সালাদ ও টক দই খাবেন। তবে অতিরিক্ত ঝুঁকিতে থাকলে গরুর মাংস এড়িয়ে চলুন।
দশ- যাদের অস্ত্রোপচার হয়েছে বা শরীরের কোনো গভীর ক্ষত আছে, তারা ১০০ গ্রামের বেশি মাংস খেতে পারবেন না।