আর্কাইভ থেকে অর্থনীতি

কমছে কাঁচা মরিচের দাম

গেলো কয়েক দিন ধরে দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কাঁচা মরিচের দাম। কোথাও কোথাও নিত্যপণ্যটির কেজি হাজারের উপরে চলে যায়। দামের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানি বাড়িয়ে দেয়। এই খবর শুনেই হু হু করে নিত্যপণ্যটির দাম কমাতে থাকেন বিক্রেতারা। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে এখন কাঁচা মরিচ রাজধানীর বাজারে দুশোর কোটায় চলে এসেছে।

সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি দেশি মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও নিত্যপণ্যটির কেজি ২০০ টাকা বা এর কিছু বেশি।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের মরিচ দেশের বাজারে প্রবেশ করায় দেশি মরিচ তারা কম দামে দিয়ে দিচ্ছেন। কারণ পচনশীল এই পণ্যটি বিক্রি না করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

এদিকে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে কারওয়ানবাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুম আরফিন বলেন, সম্প্রতি কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে আমরা বাজার মনিটরিং শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে আজকের অভিযান।

এ সময় বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করায় কারওয়ানবাজারে তিন ব্যবসায়ীকে দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ৫০০ টাকা। বাকিদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

কোরবানির ঈদের দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীতে কাঁচা মরিচ কেজি বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। ঈদের আগে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এরপর থেকে দাম আর কমেনি, বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এমনকি দেশের কোথাও কোথাও ১২০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। কাঁচা মরিচের এত বেশি দাম আগে কেউ কখনও দেখেনি।

কাঁচা মরিচের বাজার স্বাভাবিক করতে আমদানির ওপর জোর দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। ঈদের ছুটির পর রোববার (২ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশে ৫৫ টন কাঁচা মরিচ এসেছে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। রাতে আরও আসার কথা জানায়। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং দেশে মোট ৯৩ টন এসেছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। আমদানির সব মরিচ দেশে এলে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পান সেজন্য গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। কিন্তু দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে ১০ মাস পর সম্প্রতি আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে আমদানি সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। অবশেষে আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর ফলে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার পথে কাঁচা মরিচের বাজার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন