আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এক রাতেই বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

সরবরাহ কমের অজুহাতে আবারো দিনাজপুরের হিলিতে বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১২০ টাকা করে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।

সোমবার (৩ জুলাই) যে কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল মঙ্গলবার (৪ জুলাই) তা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়নি। এর কারণ হলো বর্তমানে ভারত থেকে এক কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে আমাদের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। কিন্তু সোমবার দেশে কাঁচা মরিচের পাইকারি বাজার নেমে এসেছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। এই অবস্থায় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে আমদানি কারকদের। যার কারণে লোকসান থেকে বাঁচতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা সোমবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন।

তবে আজকে দেশে কাঁচা মরিচের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখ এই কারণে মঙ্গলবার আমরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবো। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছি তবে সেটা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নয় বেনাপোল বা অন্য স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করবো। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করলে খরচ বেশি লাগছে। সেই তুলনায় ওই স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানিতে কিছুটা খরচ কম হচ্ছে যার কারণেই ওই পথ দিয়ে আমদানি করা হবে। এতে করে দেশে কাঁচা মরিচের সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি দাম নিয়ে যে অস্থিরতা সেটি কেটে যাবে। তবে যতদিন দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেশি থাকবে ততদিনই ভারত থেকে কাঁচা মরিচ হবে দাম কমে আসলে ও পড়তা না থাকলে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, কাঁচা মরিচসহ অন্য যে কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ সময় তাদের ক্রয় বিক্রয়ের ম্যামো দেখে দামের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখছি। কেউ যদি অহেতুক কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশে কাঁচামরিচের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গেলো ২৫ জুন ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর ২৬ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এরপর থেকে ঈদের ছুটির কারণে বন্ধের পর গত ২ ও ৩ জুলাই থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আবারো কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। রোববার বিকেল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ১১ জন আমদানিকারক ৪ হাজার ২০০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন