আবু আহমেদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়ার নির্দেশ
সোনা চোরাকারবারি হিসেবে পরিচিত ফটিকছড়ির আবু আহমেদ ওরফে আবুকে অর্থ পাচার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সে জামিন স্থগিতও করেন। কিন্তু তার আগেই জামিনে মুক্ত হয়ে লাপাত্তা হন আবু আহমেদ।
সোমবার (১০ জুলাই) সেই মামলার শুনানিতে আবার আপিল বিভাগ আবু আহমেদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতই রাখেন। সেই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়ার নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সিআইডির উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. হারুন উর রশীদ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির জাপতনগর এলাকার ফয়েজ আহম্মদ ওরফে বালী সওদাগরের ছেলে আবু আহমেদ ওরফে আবুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে আসামিরা সংঘবদ্ধ হুন্ডি (অর্থ পাচার), স্বর্ণ চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ টাকা জমা এবং ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা তুলে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, চাঁদগাও, ফতেহনগর, রাউজান, ফটিকছড়িতে জমি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। দুবাইয়ে তার ২/৩টি দোকান রয়েছে।
বিভিন্ন থানায় আবু আহমেদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলায় গেলো ৬ এপ্রিল হাইকোর্ট তাকে তাকে জামিন দেন। পরে সে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদনের শুনানির পর গত ১১ এপ্রিল চেম্বার আদালত আবু আহমেদের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন। কিন্তু জামিন শুনানির জন্য আসে আপিল বিভাগে। সে ধারাবাহিকতায় সোমবার আবেদনটির শুনানি শুরু হলে আদালতকে আবার জানানো হয় আবু আহমেদ হেফাজতে নেই, দেশ ত্যাগ করেছেন।