আর্কাইভ থেকে অপরাধ

শিল্পকলার ডিজি লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ এলে সেসব যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) শিল্পকলার ডিজিকে দুদক এসে বক্তব্য জানাতে নোটিশ পাঠানো হয়। একই দিন শিল্পকলার বিগত দুই অর্থবছরের বাজেট, ব্যয় এবং ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের নথিপত্র চেয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক।

চলতি বছরের শুরুতে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করে দুদক।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

প্রায় এক যুগ ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মকর্তাকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে এ অর্থ উত্তোলন করে নেন লিয়াকত আলী লাকীসহ একটি সিন্ডিকেট।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লাকী। ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করেন লাকী। সরকারি বরাদ্দের অর্থ খরচ দেখাতেই এমন অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয় বলে দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ‘ডান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা’ কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।

অনন্যা চৈতী

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন