আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরাজয়ের কারণ ইভিএম কারচুপি : জানালেন তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বেসরকারি ফলাফলে পরাজিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এটি তার হ্যাটট্রিক জয়। 

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ভোট গণনা শেষে নাসিক নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন, নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জবাসী ও মিডিয়া সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে কারচুপির কারণেই তার পরাজয় হয়েছেন। সন্ধ্যায় ভোটের ফলাফলে সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।

কারণ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি; আমার এমন কোনো লোক নাই, যাদের বাড়িতে পুলিশ যায়নি। আমি তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম- আপনি নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। কিন্তু মানুষ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়েও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।

তৈমূর বলেন, আমাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলা হয়েছে। আমাকে নির্বাচনী মাঠে থাকতে দেওয়া হবে না। এমনকি নির্বাচনের আগে আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কী কাজ তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার। তিনি নারায়ণগঞ্জে এসে কিসের মিটিং করেন।

নির্বাচনের আগে আমার পাশে কোনো দল ছিল না। পাশে কোনো দল থাকলে নির্বাচনের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। রাজনীতি করতে দল লাগে, কোনো পদ-পদবি লাগে না বলে জানান তৈমূর আলম খন্দকার।

নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন