আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নোয়াখালী পৌরসভায় নৌকা বিজয়ী

নোয়াখালী পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী শহিদুল ইসলাম কিরণ পেয়েছেন ৮হাজার ৬২৮ ভোট।

মেয়র পদে বিজয়ী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়। তিনি এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

এরআগে সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ। বিকালে বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড বিজয়ী মিছিল হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় শহরে বড় আকারে বিজয়ী মিছিল থেকে বিরত ছিল জয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা।
 
রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম। তিনি জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ৩৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বেসরকারি ভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল। তার প্রতিদ্ধন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম কিরণ কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬২৮ ভোট। বরিশাল জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন মোবাইল প্রতীক পেয়েছেন ২২৪৪ ভোট।
 
এছাড়া নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র আবু নাছের, ইসলামী আন্দোলনের সহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র কাজী আনোয়ার হোসেন, শামছুল ইসলাম মজনুসহ মোট ৭জন প্রতিদ্ধন্দ্বীতা করেছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দ্বীতা করেছিলেন।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং রফিকুল বারী আলমগীর, ২নং ওহিদ উল্যাহ পলাশ, ৩নং মো. সেলিম, ৪নং আবুল খায়ের সোহাগ, ৫নং রতন কৃষ্ণ পাল, ৬নং জাহেদুর রহমান শামীম, ৭নং বদরুল হাসান বাবলু, ৮নং নাসিম উদ্দিন সুনাম ও ৯নং ওয়ার্ডে ফখরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোট গ্রহণ হয়েছে ৩৯হাজার ৮২২ ও বাতিল হয়েছে ৬৯ ভোট। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন