আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ডিসি-ইউএনওদের গাড়ির জন্য ৩৮০ কোটি টাকা চায় জনপ্রশাসন

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে যখন কৃচ্ছতা সাধন করছে সরকার, তখন ৩৮০ কোটি টাকার বিলাসবহুল স্পোর্টস কার কেনার আবদার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। নতুন গাড়ি না কিনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির তিন সপ্তাহের মধ্যেই ২৬১টি গাড়ির কেনার টাকা চায় তারা। আগামী নির্বাচনে নাকি গাড়ি নিয়ে বেশ দৌঁড়ঝাপ করতে হবে ডিসি ও ইউএনওদের। কিন্তু এই বিপুল ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

করোনা মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে কমে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির গতি। এই মন্দার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। গেল কয়েক বছর ধরেই ধকল যাচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে।

সব সামলে অর্থনীতিকে সামনে টেনে নিতে খরচ কমানোকেই বড় কৌশল হিসেবে নিয়েছে সরকার। সরকারি অফিসে নতুন করে গাড়ি কেনা, কর্মকর্তাদের হুটহাট বিদেশ যাত্রার মতো আয়েশি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। এই নিয়ে গেল ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করে নতুন নির্দেশনা।

বিধিনিষেধ ঘোষণার তিন সপ্তাহের মধ্যেই বিলাসী গাড়ি কেনার আবদার করে বসলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গেলো বুধবার (১৯ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ নানা কাজেই ব্যস্ততা বাড়বে জেলা প্রশাসক আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের। এ জন্য কর্মকর্তাদের জন্য লাগবে নতুন জীপ গাড়ি, যার মডেল হবে মিতসুবিশি পাজেরো স্পোর্টস QX. যার প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এরআগে খোদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে, গাড়ির সংখ্যা ৪৬১ থেকে কমিয়ে ২৬১ তে আনা হয়। সব ঠিক থাকলে এই খাতে সরকারকে গুণতে হবে ৩৮০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

গাড়ি কেনার পক্ষে সাফাই হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, বেশিরভাগ গাড়িরই মেয়াদ শেষ। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলেছে, ৬১ জেলা প্রশাসক আর ২০০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির ১৪ বছরের মেয়াদ একই সময়ে শেষ হয় কিভাবে? যেখানে প্রতিবছরই নতুন গাড়ি কেনার বায়না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, খরচ হয় নির্ধারিত বরাদ্দও। এমন প্রেক্ষিতে পাল্টে যেতে পারে কৃচ্ছতা সাধনের সব হিসাব নিকাশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন