আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

আম্পায়ারিং বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বাশার

ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ের কাছাকাছি এসেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের দেওয়া ২১১ রানের বিপরীতে খেলতে নেমে ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তবে এমন হারের পিছনে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

প্রথম ঘটনাটি ম্যাচের ১৪তম ওভারের। রাকিবুল হাসানের বলে, নিকিন জোসে সামনে পা এনে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন। বল তাঁর ব্যাট ফাঁকি চলে যায় উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে। বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন আকবর। জোসের পা এর আগে পপিং ক্রিজের মাটি ছুঁয়েছে, নাকি ছোঁয়নি-এটা নিশ্চিত হতে টিভি আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ফিল্ড আম্পায়াররা।

প্রথম দেখায় অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না জোসে বেল পড়ার আগে পপিং ক্রিজের মাটি ছুঁয়েছেন কি না। এ জন্য বারবার বিভিন্ন কোণ থেকে দেখতে থাকেন টিভি আম্পায়ার।

তিন মিনিটের বেশি সময় নেওয়ার পর টিভি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানান, জ্বালান আউটের সংকেত লাল বাতি। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও উল্লাস শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেটা পাল্টে যায়। বাংলাদেশের উল্লাস থামিয়ে জ্বলে উঠে সবুজ বাতি। এরপরই প্রতিবাদ করে ওঠেন বাংলাদেশের খেলোয়াররা। অধিনায়ক সাইফ হাসান কথা বলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে। কিন্তু সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসেনি।

এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়ও ছিল আম্পায়ারিং বিতর্ক। সৌম্য সরকারকে দেওয়া আউট নিয়েও কথা কাটাকাটি হয়েছে ব্যাপক। আম্পায়ারের এমন আচরণে অবাক জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ।

বাশার বলেন, ‘সবাই দেখেছেন। বলার মতো তেমন কিছু নেই। সবাই জানেন আজ কি হয়েছে। আমি আসলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে মন্তব্য করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওদের সুযোগ দিয়েছি ম্যাচে ফিরে আসার। একইসঙ্গে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত যদি দেখেন, সেগুলো যদি আমাদের পক্ষে যেত, তাহলে ম্যাচের চেহারাটা অন্য রকম হতো। সৌম্য ও জাকির যদি আউট না হতো, তাহলে ম্যাচটা এই পর্যন্ত আসতো না। কিন্তু আমাদের শেষ করে আসা উচিত ছিল।’

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন