আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তৈমূরের জনপ্রিয়তা আছে, তার প্রশংসায় যা বললেন তথ্যমন্ত্রী (ভিডিও)

নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার বিএনপির আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিএনপি কম্বল বাছতে গিয়ে কম্বলটাই না জানি উজাড় হয়ে যায়। তৈমূর আলম খন্দকার যে ভোট পেয়েছে তাতে আমার মনে হচ্ছে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং নারায়ণগঞ্জে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে যে, কেন নারায়ণগঞ্জে এতো সুন্দর নির্বাচন হলো। কেন তা সারাদেশ কর্তৃক প্রশংসিত হলো। সেটার দায় তৈমূর আলম খন্দকারের ওপর দিতে চাচ্ছে। সেকারণে তাকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে বিএনপি কুমিল্লার মেয়রসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় নানাজনকে নানা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, বহিষ্কার করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূণ্যতা এবং সবকিছুতে ‘না’ বলার বাতিকেরই প্রমাণ।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়।

ড. হাছান বলেন, কিন্তু সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েন নাই এবং তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন যে, এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য

ড. হাছান বলেন, দেশের রপ্তানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আজকে দেশের যে ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে সেটিকে ম্লান করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন