আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সংশোধন আসছে ইসি গঠন আইনে

কমিশন নয়, দায়মুক্তি দেয়া হবে আগের দুই সার্চ কমিটিকে। নির্বাচন কমিশন গঠন বিল নিয়ে বৈঠক শেষে এই সংশোধনীর কথা জানিয়েছেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। পরিবর্তন আসবে কমিশনারের যোগ্যতায়ও। আইনমন্ত্রী বলেন, দায়মুক্তির রাজনীতি করে না আওয়ামী লীগ।

হাতে সময় কম তাই জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন বিল উত্থাপনের পরদিনই বৈঠকে বসে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রায় দুই ঘন্টার বৈঠকে আইনমন্ত্রী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছাড়াও অংশ নেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। 

তড়িঘড়ি ও গোপনীয়তা করে আইন করা হচ্ছে নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর এমন প্রশ্নে সরাসরি নাকচ করে দেন আইনমন্ত্রী। ইঙ্গিত দেন, কয়েকটি দফায় পরিবর্তনের। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আইনটা গোপন করে কি লাভ। এটা যখন আইন আকারে পাশ হবে তখন মানুষ জানবে এবং দখবে, তাই এটা গোপনীয়তার কিছু নাই।

শেষ পর্যন্ত কী নতুন আইনে দুই কমিশনকে দায়মুক্তির বিষয়টি থাকছে। এ প্রশ্নের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাফ জবাব, দায়মুক্তির রাজনৈতি করে না আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। বৈঠক শেষে যার পাল্টা জবাব দিলেন বিএনপি সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। বললেন, দায়মুক্তির কথা বলা হয়েছে আইনটিতে। সংসদে সংশোধন প্রস্তাব আনবেন তারা। বিধি ৯ এর ব্যাপারে আপত্তি বিএনপির।

আইন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার জানান, কমিশনার নিয়োগে যোগ্যতা অযোগ্যতায় সংশোধন আনা হবে। আর দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ হতে পারবে না সিইসি কিংবা কমিশনার। জানান, গত দুইটি কমিশনের কার্যক্রমকে হেফাজত করার বিষয় নয়, আগের গঠিত দুই সার্চ কমিটিকে হেফাজত করা হচ্ছে আইনটি দ্বারা।

আগামী বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিলটি আলোচনার জন্য সংসদে উঠতে পারে। পরে দ্রুতই তা চুড়ান্ত আইন আকারে পাশ হবে।

যে দুই পরিবর্তনের সুপারিশ
বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও কমিশনার হতে হলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।

বহুল আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ রোববার সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন