আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ১০ দফা নির্দেশনা

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে আগত পর্যটক ও পর্যটকবাহী নৌযানের নিরাপত্তায় ১০ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ প্রশাসন।

হাওরের পরিবেশ রক্ষা, নৌ দুর্ঘটনা এড়ানো, গণ-উপদ্রব রোধ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বললেন মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক।

ওসি বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এই নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি, নৌযান চালক ও পর্যটকেরা এই নির্দেশনা মেনে চলে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশকে ঠিক রাখবেন। এ লক্ষ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট সব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।’

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. কোনো নৌযানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক বা যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।

২. নৌযান চলাচলের সময় কিংবা পানিতে নামার সময় প্রত্যেক পর্যটক এবং নৌচালক আবশ্যিকভাবে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করবেন।

৩. বিরূপ আবহাওয়া থাকলে নদীতে কিংবা হাওরে ভ্রমণ করা যাবে না।

৪. প্রতিটি নৌযানকে হাওর বা নদীতে যাত্রা শুরুর অন্তত ছয় ঘণ্টা পূর্বে নির্ধারিত ফরমে মধ্যনগর থানার ডিউটি অফিসারকে (মোবাইল নম্বর ০১৩২০-১২১০৫৫) অবহিত করতে হবে।

৫. পর্যটক ও নৌচালকদেরকে নৌযানে ও স্থলভাগে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

৬. প্রতিটি নৌযানে এবং নৌঘাটে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নৌযান মালিক সমিতি ও নৌচালকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

৭. নির্ধারিত স্থান ছাড়া হাওর বা নদীর পানিতে বা স্থলভাগের কোথাও কোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না।

৮. পর্যটকবাহী নৌযান যেকোনো স্থলভাগের কাছাকাছি অবস্থানকালে উচ্চশব্দে কোনো ধরনের মাইক বা লাউড স্পিকার বাজাতে পারবে না।

৯. প্রতিটি নৌযান, পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করবে। পর্যটকদেরকে সার্বক্ষণিক তাদের নিজস্ব দায়িত্বে সুরক্ষা দিতে হবে।

১০. নোঙরের স্থানে দুষ্কৃতিকারীরা থাকতে পারে। তাদের থেকে পর্যটকদেরকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

কেএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন