আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

আবারও চালু করলো সিলগালা ‘যৌন উত্তেজক সিরাপ কারখানা’

পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের চকনারিচা বাগবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত ন্যাচারাল আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ নামে একটি ওষুধ কারখানা। যার স্বত্বাধিকারী রুবেল হোসেন। ওষুধ কারখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহীন যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করে আসছিলেন তিনি।

এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচার হওয়ার পর গেলো ২৭ এপ্রিল ২০২৩ বিকেলে সেখানে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন পাবনা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি।

অভিযানে নিষিদ্ধ অনুমোদন বিহীন যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক রুবেল হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। এবং যৌন উত্তেজক সিরাপ ধ্বংস করা হয়।

তবে সিলগালার কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রায় দুই মাস আগে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে পুনরায় যৌন উত্তেজক কোম্পানী আবার চালু করেন কোম্পানিটির স্বত্বাধিকারী রুবেল হোসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, গেলো ২৭ এপ্রিল ন্যাচারাল আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করার অপরাধে সিলগালা করা হয়। কিন্ত দুই তিন মাস গেলেই গোপনে আবার কোম্পানী চালু হয়। স্থানীয়রা আরও বলেন, কোম্পানীর মূল দরজা বাহির থেকে তালা মেরে বন্ধ করে রাখে। তাই দেখলে বোঝার উপায় নেই কোম্পানী চালু না বন্ধ৷ তবে সকালে ও সন্ধায় কর্মচারীদের আনাগোনাতে বোঝা যায় কোম্পানী চালু রয়েছে।

এসকল বিষয়ে রুবেল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবার সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই আমি কোম্পানী চালু করেছি। আপনারা খুব খারাপ৷ আপনারা সংবাদ প্রকাশ করে আমার অনেক বড় ক্ষতি করেছেন ৷ নিউজ করার জন্য প্রশাসন এসে আমার কোম্পানীতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ।

তবে কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে আবার প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে কোম্পানীর মালিক রুবেল হোসেন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তবে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই চালাচ্ছেন।

এই বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির বলেন, এর আগে কোম্পানিতে অবৈধভাবে যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করার কারণে অভিযান হয়। পরবর্তীতে কোম্পানি সিলগালা করা হয়। তবে বর্তমানে আবার যদি এ সকল অবৈধ কার্যক্রম চলতে থাকে তাহলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন