আর্কাইভ থেকে ক্যাম্পাস

কুবি সাংবাদিককে বহিষ্কার, পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম ইবি সাংবাদিকদের

সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে অনতিবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের দাবিতে মাঠে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংবাদিকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে ইবি প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি ভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন।

এসময় ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে কুবি উপাচার্যকে শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, দপ্তর সম্পাদক মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমানুল সোহান, দপ্তর সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।

মানবন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, ‘কুবি উপাচার্য দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এটা স্পষ্ট। সেই বক্তব্য নিয়ে নিউজ করায় অযৌক্তিকভাবে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে বহিষ্কারের মাধ্যমে উপাচার্য নিজের স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামী শনিবারের মধ্যে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও আবাসিক হলের আবাসিকতা ফিরিয়ে দিতে হবে। একইসঙ্গে এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলপূর্বক উপাচার্যকে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কুবিতে একটি অনুষ্ঠানে দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য সংবাদ হিসেবে গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সাংবাদিক ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে হল থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন