আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

১২ বছর ধরে শুক্রাণু দান, কে এই ১২৯ সন্তানের বাবা

একজন বা দুজন কিংবা ৩ জন নয়; ১২ বছর ধরে স্বাভাবিক উপায়ে নয়,  শুক্রাণু দানের মাধ্যমে ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। আরও নয়টি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স। 

স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর শুক্রাণুদাতা। আগামী আরও কয়েক বছর এই শুক্রাণু দান চালিয়ে যেতে চাই। আমার ইচ্ছা ১৫০ সন্তানের বাবা হওয়ার।’

সন্তানবিহীন পরিবারগুলোতে খুশি ছড়িয়ে দিতে ১২ বছর ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের শুক্রাণু দান করে আসছেন ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত গণিত শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স। 

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ক্লাইভ জানান, ৫৮ বছর বয়স থেকে তিনি শুক্রাণু দান শুরু করেন। ৬৬ বছর বয়সী শিক্ষক বলেন, ‘সন্তান পেয়ে ভীষণ খুশি মায়েদের যে বার্তাগুলো পাই, সেগুলো দেখলে হয়তো মানুষ বিষয়টি বুঝতে পারবে। আমি সেই খুশি অনুভব করতে পারি।’

ক্লাইভ বলেন, ‘আমি অনেক ক্লিনিক এবং শুক্রাণু ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানি। তারা শুক্রাণু দান করে না, বীর্য বিক্রি করে।’

এ কাজের জন্য ফেসবুক বেছে নেয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে শুক্রাণু দানের সময়সীমা ৪৫ বছর পর্যন্ত। এর বেশি বয়সী কেউ দেশটিতে শুক্রাণু ব্যাংকের মাধ্যমে তা দিতে পারেন না। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জোনসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে।

যুক্তরাজ্যের মানব নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণবিদ্যা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, সব শুক্রাণুদাতা এবং রোগীদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমেই এই পদ্ধতিতে সন্তান নিতে হয়।

এস 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন