আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

আধিপত্য বিস্তারের জেরে আওয়ামীলীগ ও স্বেছাসেবকলীগ নেতার মারামারি

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে  আওয়ামীলীগ ও স্বেছাসেবকলীগের নেতাকর্মিদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত  ৬ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন- নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার (৫২) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক(৪৮)। ইউনিয়ন স্বেছাসেবকলীগের সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম জহু মন্ডল (৪৭), ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মুকুল মাস্টার (৫২), ইউনিয়ন স্বেছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার (৪০) ও সোহান সরকার (২৩)।

আজ (৮ আগস্ট) রাত আটটায় উপজেলা চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের মগবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি উত্তর রেহাইশুড়িবেড় গ্রামের মৃত আফজাল সরকারের ছেলে আব্দুর রহিম সরকার (৫২) নাটুয়ারপাড়া হাট, নৌকা ঘাট ও সামাজিক বিচার সালিসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তারই অনুসারী নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন স্বেছাসেবকলীগের সহসভাপতির রইজ উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম মন্ডল (জহু) মন্ডলের সাথে এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়ে দুইজনের মতের মিল না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে মনকষাকষি চলে আসছিলো।

এই অবস্থায় সোমবার রাতে নাটুয়ারপাড়ার মগবাজার এলাকায় জহুরুল ইসলাম ওরফে জহুকে একা পেয়ে রহিমের লোকজন তাকে মারধোর করে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে জহুর লোকজন পৌঁছালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় জহুর লোকজনের হাতে রহিম ও তার অনুসারী বিলসুন্দর গ্রামের ফজলুল হক (৪০) সহ অন্যরা আহত হন।

কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নাটুয়ারপাড়া গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। শিঘ্রই তাদের নিয়ে বসবো।

নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আজ দুপুরে কাজিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত (পিপিএম) জানান ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে এসেছি পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এখনো অবধি কেউই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন