হাফ সেঞ্চুরিতে ডিমের হালি
বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি দামে হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। ডজন প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে চোখ পোড়াচ্ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। গেলো কয়েক দিনের তুলনায় বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেল, চাল, ডাল ও মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
গেলো কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন মুরগির ডিমের দাম খুচরায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
এর আগে ২০০৯-১০ সালে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিলো। কারণ ছিল বার্ড ফ্লু। বর্তমানে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রফিড ও পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে।
খামারিরা জানিয়েছেন, মুরগির খাবারের দাম এতটা বেশি যে ব্যয় সামলাতে না পেরে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনও কমে গেছে।
ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং অনেক খামার বন্ধ হয়ে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া।
২০০৮-০৯ সালে মুরগির ডিমের হালির গড় দাম ছিলো ২৭ টাকার আশপাশে। সবশেষ গত জুলাইয়ে দাম ছিলো ৪০ টাকার কিছু কম।