আর্কাইভ থেকে অর্থনীতি

মন্ত্রণালয় চাইলেই ডিম আমদানি করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত সে অনুমতি চায়নি তারা। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের সামনে এক উদ্বোধন‌ী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিক্রির কার্যক্রম উদ্ভোধন করে টিপু মুনশি বলেন, মজুদ না থাকায় চিনি বিতরণ সম্ভব হচ্ছেনা, তবে শীঘ্রই চিনি বিতরণ শুরু হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম কত হওয়া উচিত সেটা সেটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করতে হবে।

ডিম এত বেশি দামে কিনে খাওয়ার কথা স্মরণ করতে পারছে না দেশবাসী। নিত্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধির জন্য করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায় সংগঠনটি।

এমন পরিস্থিতিতে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে অভিযান চালানোর কথা জানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে গতকাল অভিযান চালায় সংস্থাটি। কিন্তু তারপরেও রাজধানীর অনেক স্থানে ৬০ টাকা হালি দরে ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাম না কমলে প্রয়োজনে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

গেলো বছরের এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে যায়। গেলো মাস পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয় ডিম। এরপরই থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা।

এদিকে, দেশের স্বল্প আয়ের কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে টিসিবি। তবে এবার চিনি বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

কার্ডধারী এক কোটি পরিবারকে প্রতি মাসে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা করে দুই কেজি মশুর ডাাল, এবং কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল বিক্রি করছে টিসিবি।

ক্রেতারা জানান টিসিবি প্রতিমাসে দুইবার পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করলে বাজার থেকে উচ্চ মূল্যে পণ্য কিনতে হবেনা।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন