আর্কাইভ থেকে শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নয়, দাবি ৫০ নম্বরের পরীক্ষার

পরীক্ষা পেছানোর দাবি থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বোর্ড ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা করেননি তারা। পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি দেয়ার কথা জানিয়ে বোর্ডের সামনে থেকে সরে যান পরীক্ষার্থীরা।

ঢাকা বোর্ডের সামনে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বলেন, বোর্ড চেয়ারম্যান গেলো বৃহস্পতিবার আমাদের আশ্বাস দেয়ায় এখানে এসেছিলাম। কিন্তু বোর্ডের কারও কোনো সাড়া পাইনি আমরা। পুলিশ আমাদের এখানে দাঁড়াতেও দেয়নি। আমরা এখন মাউশিতে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি দেবো।

তারা আরও বলেন, এখন আমাদের আর পরীক্ষা পেছানোর দাবি নেই। এখন দাবি হলো- ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হোক। কারও প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। শুধু শিক্ষক ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি চাইছি। বোর্ডের সামনে সহপাঠী আর কাউকে না আসারও আহ্বান জানান তারা।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা মাউশিতে স্মারকলিপি দেয়ার কথা বলে বোর্ডের সামনে থেকে চলে গেলেও বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত তাদের কেউ মাউশিতে যাননি। ফলে তারা আদৌ মাউশিতে স্মারকলিপি ও গণস্বাক্ষর জমা দেবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, তারা তো চলে গেছে। তারাও বিষয়টা বুঝেছে যে, তাদের দাবি যৌক্তিক নয়। হাতেগোনা কয়েকজন আন্দোলন করছিল। ফেসবুকে সবাই সংগঠিত হয়েছে। এ কদিন এসব না করে তারা যদি মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতো, নিশ্চয়ই আরও ভালো ফল করতো। তারপরও আমি আশা করছি, সব ভুলে তারা ভালো পরীক্ষা দেবে, ভালো ফল করবে।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বোর্ডের দুই নম্বর ফটকের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। তবে পুলিশের অবস্থানের কারণে তারা সেখানে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন।

ওই সময় শিক্ষার্থীরা জানান, গেলো ১০ আগস্ট তারা বোর্ড চেয়ারম্যানকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। বোর্ড চেয়ারম্যান কী সিদ্ধান্ত জানান, তা জানতে এসেছিলেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন