ফুটবলারদের টানতে শরীয়াহ আইন ভাঙছে সৌদি আরব
জানুয়ারিতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। এরপর একে একে করিম বেনজেমা, এনগোলো কান্তে, ফ্যাবিনহো, রবার্তো ফিরমিনো,রুবেন নেভেসে, হেন্ডারসনের মত তারকারা পাড়ি জমিয়ছে সৌদি আরবে। সর্বশেষ এ তালিকায় বড় নাম ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র।
তবে এসব ফুটবলারদের দলে টানতে গিয়ে সৌদি আরবের ইসলামী শরীয়ার কিছু আইন শিথিল করতে হচ্ছে। যেমন সৌদির নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ ছাড়া কোন যুগুল এক সাথে থাকতে পারবে না। কিন্তু, সৌদি ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নেইমার তার বান্ধবী এবং প্রেমিকা ব্রুনো বিয়ানকার্দির সঙ্গে সৌদি আরবে থাকার অনুমতি পেয়েছেন।
এর আগে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও। বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে বিয়ে না করেই সৌদিতে নিজের সময় পার করছেন সিআরসেভেন। এমনকি, সৌদি নারীদের জন্য নির্ধারিত ‘আবায়া’ পোশাক অর্থাৎ যে পোশাক দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হয় তার বাধ্যতাও থাকছে ফুটবলারদের বান্ধবী কিংবা স্ত্রীর উপর। স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে বেশ অনেকবারই স্বল্পবসনে দেখা গিয়েছে তাদের।
সৌদি আরবে ক্রুশ বা খ্রিস্টধর্মের প্রতিকী প্রদর্শনীর ব্যাপারে কড়াকড়ি রয়েছে। মুসলিম বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র হওয়ার সুবাদে এমন অলিখিত রীতি চালু আছে সেখানে। কিন্তু রোনালদো সম্প্রতি সৌদিতে গিয়ে গোল উদযাপনে ক্রুশ চিহ্ন বুকে এঁকেছেন। তবে তা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এক্ষেত্রেও শিথিল অবস্থানে যাচ্ছে দেশটির সরকার।